আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর দলটির নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এখনো অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন আজ রবিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গেজেট প্রকাশের পর নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “যখন গেজেট প্রকাশিত হবে, তখন নির্বাচন কমিশন বসে বিষয়টি পর্যালোচনা করবে এবং দেশের বর্তমান বাস্তবতা ও চেতনার আলোকে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও নির্বাচনী পরিবেশকে বিবেচনায় রেখেই হবে।”
সিইসি আরও জানান, “জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই স্পষ্ট। সেই বাস্তবতাও আমাদের বিবেচনায় থাকবে।”
আন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শনিবার রাতেই এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন যে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত গেজেট সোমবার প্রকাশ করা হবে।
এ সিদ্ধান্তের পটভূমিতে রয়েছে গত ৭ মে ক্ষমতাচ্যুত দলটির সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গোপনভাবে থাইল্যান্ডে চলে যাওয়া এবং এরপর থেকেই নতুন করে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’-র নেতৃত্বে আন্দোলনের গতি সঞ্চার হয়। ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক জোট বিক্ষোভে শামিল হয়, যার প্রধান তিন দাবির একটি ছিল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দলকে নিষিদ্ধ করা যেমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ, তেমনি তার নিবন্ধন বাতিল করাও একটি সাংবিধানিক বিষয়, যার জন্য নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট মূল্যায়ন ও আইনি ভিত্তি প্রয়োজন।